১০ বছরের জন্য সংরক্ষণ করা হলো সোনালি রক্ত

শেয়ার করুন:

মালেশিয়ার কুয়ালালামপুরে তেরেঙ্গানু নামক অঞ্চলে এক নারীর দেহে পৃথিবীর দুর্লভ এক গ্রুপের রক্ত ❝গোল্ডেন ব্লাড❞ পাওয়া গিয়েছে। এই সোনালী রক্ত বা গোল্ডেন ব্লাডকে Rh nullও বলা হয়। অর্থাৎ এই রক্তে কোন Rh এন্টিজেন থাকেই না! পৃথিবীতে ৪৩ জনের শরীরে এই Rh Null অর্থাৎ Rh বিহীন রক্ত পাওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। তার মধ্যে মালেশিয়ান এই তরুণী একজন।

সহসা এমন রক্ত পাওয়া যায় না বলে এরকম নামকরণ করা হয়েছে। এর মানে কিন্তু এই নয় যে এই রক্তের রঙ সোনালি! রক্তের রঙ হিমোগ্লোবিন এর উপস্থিতির জন্য সব সময় লালই হয়।

তেরেঙ্গানু ব্লাড ব্যাংক এর তথ্য অনুযায়ী, তিনিই মালেশিয়ার একমাত্র ব্যক্তি যিনি এই বিরল রক্তের গ্রুপের অধিকারী। তার দানকৃত রক্ত রাজধানী কুয়ালালামপুরের কেন্দ্রীয় National Blood Bank এ পাঠানো হয়েছে যেখানে নাইট্রোজেন পূর্ণ একটি কন্টেইনারে মাইনাস ৮০ ডিগ্রি (-80°C) সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১০ বছরের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে৷ যদি কখনো কারো লাগে সেখান থেকে ফ্রোজেন রক্ত তরলীকরণ করে সংগ্রহ করতে পারবে!

অস্ট্রেলিয়ান একাডেমি অব সাইন্স এর ভাষ্যমতে ❝লোহিত রক্ত কণিকায় Rh Antigens (প্রোটিন) এর একেবারে অনুপস্থিতি দুর্লভ একটি ঘটনা। ১৯৬১ সালে অস্ট্রেলিয়ার এক আদিবাসী নারীর শরীরে সর্বপ্রথম এই বিরল গ্রুপের রক্ত আবিষ্কার করা হয়।❞

আর এইচ নাল অর্থাৎ Rh বিহীন রক্ত কারো প্রয়োজন হলে পরিসঞ্চালন করা খুবই কঠিন ও দুরুহ একটি ব্যপার হয়ে দাঁড়াবে!
এই মানুষদের উচিত নিজেই নিজের ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনে রক্তদান করে রেখে দেয়া!

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে (ডিসেম্বর ২০২১অনুযায়ী) এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের মধ্যে মাত্র ৯ জন রক্তদানে সক্ষম আছেন। Terengganu Kite blood bank এর তথ্যসূত্র থেকে জানা যায়, ছবির নারী রক্তদাতা ২০১৬ সাল থেকে রক্তদান শুরু করেন। ব্লাড ব্যাংকটি তার রক্তের গ্রুপ বিরল ও ব্যতিক্রম হতে পারে বুঝতে পেরে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ল্যাবরেটরিতে স্যাম্পল পাঠিয়েছিলো। এরপরই তার রক্ত সংগ্রহ করে সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাংকে সংরক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছিলো।

২০২১শে এসে তার রক্তদানের ছবি প্রকাশ হলে নেট দুনিয়ায় খুব দ্রুতই ছড়িয়ে পরে। সংগত কারণেই এই নারীর নাম, পরিচয় প্রকাশ করা হয় নি।

কি এই Rh null রক্ত??
এই রক্ত সম্পর্কে বিস্তারিত Click জানতে পড়ুন 

শুধুমাত্র স্বেচ্ছায় রক্তদাতাগণ রেজিস্ট্রেশন করবেন।


শেয়ার করুন: