Diego

শেয়ার করুন:

ডিয়েগো ব্লাড গ্রুপ এর নাম শুনেছেন কেউ?

রক্তের গ্রুপের (ব্যাতিক্রম এন্টিজেনের) শেষ নাই!

আমরা আসলে মেজর ABO সিস্টেমে বাকী গুলো “গোনায়” ধরি না! যদিও ইদানিং বোম্বে গ্রুপ মাঝেমধ্যেই চাহিদার তালিকায় ঘন ঘনই পাওয়া যায়!!

সংক্ষেপে:

১৯৫৩ সাল। ভেনিজুয়েলায় একটা বাচ্চা জন্মগ্রহণ করেছিলো। হিমোলাইটিক ডিজিজে ৩ দিন পর বাচ্চাটা জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়!

বাচ্চার রক্তের নমুনা গবেষক Philip Levine এর কাছে পাঠানো হলে বাচ্চার ও মায়ের রক্ত পরীক্ষায় প্রাথমিক ভাবে তেমন কিছু ধরা না পরলেও extensive পরীক্ষা করে কিছু incompatibility খুঁজে পান৷

বাচ্চার বাবার রক্ত নেয়া হলো৷ বাচ্চার মায়ের রক্তের সিরামের সাথে টেস্ট ম্যাচ করতে গেলে ক্যারাব্যারা লেগে গেল! অর্থাৎ রিয়েকশন আর কি!

বুঝতে বাকী রইলো না “কুচ তো গারবার হ্যায়”

মায়ের রক্তে স্বামীর রক্তের বিপরীতে একটা এন্টিবডি পাওয়া গেল। জবাব Diego সাহেবের অনুমতি সাপেক্ষে সেই এন্টিজেনের নাম দেয়া হলো Diegoa antigen । ডিয়েগো পরিবারে পাওয়া এন্টিজেনের কারণে ডাক্তারগন একে “ফ্যামিলি ব্লাড ফ্যাক্টর/প্রাইভেট” ব্লাড টাইপ বলে অভিহিত করলেন৷

roktobondhu || রক্তবন্ধু

পর্যবেক্ষকগণ গবেষণা ঘাটাঘাটি করে ১৯৫৫ সালে দেখলেন এদের জ্ঞাতি গোষ্ঠী ডিয়েগো পরিবার আমেরিকার আদিবাসী পূর্বপুরুষদের অন্তর্ভুক্ত। তদন্তকারীরা এটাও আবিষ্কার করলেন যে ডিয়েগো ফ্যাক্টর Di(a) ডিয়েগো পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, ভেনেজুয়েলা এবং দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য বেশ কিছু জনগোষ্ঠীর মধ্যেও এই এন্টিজেন রয়েছে!

তাদের ধারনা অনুযায়ী ডিয়েগো ফ্যাক্টর মঙ্গোলয়েড বৈশিষ্ট্যের হতে পারে (মঙ্গোলয়েড হলো এশিয়া , আমেরিকা এবং ইউরোপ এবং ওশেনিয়ার কিছু অঞ্চলের আদিবাসীদের একটি অপ্রচলিত জাতিগত গোষ্ঠী) , এবং মার্কিন-যুক্তরাষ্ট্রের নেটিভ(স্থানীয়) দক্ষিণ আমেরিকান গোষ্ঠী এবং চীনা ও জাপানি বংশের লোকদের পরীক্ষা করেও Dia ফ্যাক্টর পাওয়া যায়। দক্ষিণ ভারত ও মালেশিয়াতেও কিছু গোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে এই এন্টিজেনের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে।

১৯৬৭ সালে Anti-Dib আবিষ্কার হয়।

এভাবেই Diego দ্বি-অ্যান্টিজেন সিস্টেম আবিষ্কৃত হয়েছিলো।

পরে এই রক্তের গ্রুপে পরিচিত ২১টি এন্টিজেন পাওয়া গিয়েছিলো!

 

কার্ল ল্যান্ড স্টেইনার এবং লেভিন কিন্তু ১৯২৭ সালে রক্তের আরেকটা গ্রুপ আবিষ্কার করেছিলেন।

P গ্রুপ!!

ভাবা যায় এগ্লা! 😜

জটিল সমীকরণ না করে আসুন

আমরা সবাই আমাদের সাধারণ যে গ্রুপের রক্ত,

সেটা যতো সম্ভব নিয়মিত “ডোনেট” করি।

[ বি.দ্র: নতুন তথ্য পেলে কিংবা লেখায় কোন তথ্যগত ভুল পাওয়া গেলে তা আপডেট করে দেয়া হবে। ভুল সংশোধনের অংশ হিসেবে অন্যান্য লেখা গুলোতেও আমরা সংশোধন করি। তাই কপি পেস্ট নয়, লিংক শেয়ার করুন]

রক্তবন্ধু

মো. তাসনিমুল বারী নবীন।


শেয়ার করুন:

Facebook Comments