ডেলিভারিঃ ডোনার এবং ভলান্টিয়ারদের জন্য গাইডলাইন

শেয়ার করুন:

ডেলিভারি (হোক নরমাল কিংবা সিজার)

[ ডোনার এবং ভলান্টিয়ারদের জন্য গাইডলাইন ]

অন্তঃসত্ত্বা মায়ের হিমোগ্লোবিন জেনে নিয়ে জানাতে বলুন!

যদি ১০ পয়েন্ট হয় অর্থাৎ 10 g/dl ধরে নিবেন রক্তটা না লাগার সম্ভাবনা বেশি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লাগে না। এটা cut off সীমা। তাই সতর্ক থাকতে হবে। লাগতেও পারে।

যদি এর চেয়ে কম হয় (8-9) , অনেক সময়ই সিজার ডেলিভারি এর আগেই রক্ত দেয়া হয়।
৯ থেকে ৯.৫০ হলে অনেক সময় আগে না দিয়ে সিজারের বা ডেলিভারির পরে দেয়া হয়।

তবে হিমোগ্লোবিন ১০ হোক আর ১২-১৩ বা ১৪ যাই হোক, রক্তদাতা উপস্থিত থাকবেন। দুর্ঘটনা বলে আসে না। যে কোন কারণে অতিরিক্ত ব্লিডিং হতেও পারে।

এগুলো বলার উদ্দেশ্য হলো, প্রায় দেখা যায় “রক্ত টানা আছে, লাগবে না” এরকম পোস্ট দেখা যায়।
স্বেচ্ছায় দান করা এই টানানো ব্যাগটা নিয়ে একটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে হয়। অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকারও হতে হয়। আর যদি সেটা হয় নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত, তাহলে তো কথাই নেই!

তাই হিমোগ্লোবিন পয়েন্ট কমপক্ষে ১০ হলে রক্তদাতা আগেই রক্ত দিয়ে দিবেন না। অপারেশন এর পর লাগলেও টেনে নিয়ে দেয়ার সময়টুকু পাওয়া যায়। তাই হাসপাতালে গিয়ে অপেক্ষা করুন। আর ডাক্তার যদি বলে প্রসূতি মাকে রক্ত “দিতে লাগবেই” তবে সেভাবে কাজ করুন।

কথা বলে বুঝার চেষ্টা ডাক্তার কী বলেছে আর রোগির লোক বা হাসপাতালের কেউ কি বলছে। প্রস্তুত থাকতে বলেছে নাকি কনফার্ম লাগবে বলে টেনে রাখতে বলেছে। কথার মাঝে অনেক ‘গ্যাপ’ থাকে। পরিষ্কারভাবে সব কিছু না জেনে, না বুঝে, না শুনে আগেই রক্ত টেনে রাখতে দিবেন না।

অভিভাবকদের বলি, গর্ভবতী মায়ের জন্য আগে থেকেই পরিচিতদের মধ্য হতে কমপক্ষে দুইজন রক্তদাতা প্রস্তুত রাখুন।

শুধুমাত্র স্বেচ্ছায় রক্তদানে আগ্রহীগণ রেজিস্ট্রেশন করুন এবং প্রতিবার রক্তদানের পর ওয়েবসাইটে লগইন করে অবশ্যই তারিখ আপডেট করে দিবেন।


শেয়ার করুন: