প্রথম প্লাটিলেট দিচ্ছি, যেন বিয়ের অনুভূতি!

শেয়ার করুন:

১ম প্লাটিলেট দিয়ে আমার জীবনে বিয়ে করার মতো আনন্দ লাগতেছে 😂

হাস্যকর মনে হলেও আমার কি করার? আমার এমন অনুভূতি হয়েছে! আমার কি দোষ!!

মার্চের ৩ তারিখ রাত ৩টায় এমারর্জেন্সি রোগীকে ব্লাড দেওয়ার জন্য বন্ধু ডিজে রাকিব মওলা ও লোকমান জোরাজুরি করে ঘুম থেকে উঠিয়ে তুলে নিয়ে গিয়েছিলো। সেদিন মনে মনে শপথ করছিলাম আমি একবার হলেও প্লাটিলেট দিব। ঢাকায় প্লাটিলেট দেয়ার সুযোগ সহসা মিললেও চট্টগ্রামে সুযোগটা ঢাকার মতো এভেইলেবল নয়৷
আজকে (১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২) আমার সহযোদ্ধা বোন কুলসুম হঠাৎ আমাকে কল দিয়ে বলে- তোর জন্য রোগী কনফার্ম করেছি। শুনেই আমি তো খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেছি।

রোগীর কানে ইনফেকশন হয়ে ব্লাড ও প্লাটিলেট উৎপাদন কমে গিয়েছিলো। অপারেশন করে কান কেটে ফেলতে হয়েছে।

আমার চাকরির ডিউটি কখন শেষ হবে, সেই অপেক্ষার প্রহর গুনছি। অবশেষে রাতে ডিউটি শেষ করে চলে গেলাম চট্টগ্রাম মেডিকেলে। আসলে জীবনে এতো এক্সাইটেড মনে হয় আর কোনদিন ছিলাম না। প্লাটিলেট দেওয়ার পর মেডিকেল থেকে জুস দেওয়া হয়েছে। তখন আমার আনন্দটা বিয়ে করার মতো লাগতেছিলো! যা আমার পক্ষে বলে বুঝানো যাবে না। আমার জীবনে এই দিনটার জন্য কতো অপেক্ষার প্রহর গুনেছি। অবশেষে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হল। আমার সব বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি ১ম প্লাটিলেট দিব দেখে কর্মব্যস্ততা ফেলে রাতের বেলায় আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলো আমার ৩ জন বন্ধু, এর চেয়ে বড় পাওনা জীবনে আমার ছিলো না। রোগীদের ভালোবাসায় সিক্ত আমি। এই আনন্দটা যেন অব্যাহত রাখতে পারি সামনেও।
দোয়া কামনা করছি সবার কাছে।

শহীদুল ইসলাম
ও পজিটিভ, চট্টগ্রাম।
হোল ব্লাড ১১ বার, প্লাটিলেট ১ বার।


শেয়ার করুন:

Facebook Comments