লুঙ্গি পরেই ছুটে গেলেন রক্তদানে

শেয়ার করুন:

রক্তবন্ধুর একজন নিবেদিত প্রাণ ভলান্টিয়ার এবং নিয়মিত রক্তদাতা হাসান মাহমুদ। থাকেন চদ্রা-বাড়ইপাড়ায়।
ছুটিরদিন টংয়ের দোকানে চা পান করছিলেন।
হঠাৎই একটা কল আসে।
তিন মাস আগে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়েছিলো। হঠাৎ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হিমোগ্লোবিন কমে গিয়েছে, রোগীর অবস্থা ভালো না। এক্ষুনি এবি+ রক্ত লাগবে। তার নিজেরও রক্তের গ্রুপ এবি পজিটিভ।
রুমে গিয়ে প্যান্টশার্ট পরে যেতে দেরী হয়ে যেতে পারে। পোশাক বড় কথা নয়, সময় মতো রক্তদানই আসল কথা। তাই লুঙ্গি পরেই দৌঁড়ে চলে যান রক্ত দিতে পাশ্ববর্তী একটি ক্লিনিকে। (২৮ আগষ্ট, ২০২২)

  • তিনি এখন পর্যন্ত ১৭ বার প্লাটিলেট প্রদান করেছেন। আর এ নিয়ে ১৪ তম হোল ব্লাড ডোনেট করলেন। মোট ৩১ বার।

খুব শীঘ্রই মালেশিয়ায় চলে যাবেন তিনি। আপাতত এটাই খুব সম্ভবত দেশে তার শেষ রক্তদান। প্রবাসে গেলে রক্তদানের খুব একটা সুযোগ, সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা নাও থাকতে পারে। দীর্ঘ সময়ের জন্য দেশ একজন নিয়মিত রক্তদাতা হারালো।

উল্লেখ্য, পজিটিভ গ্রুপের মধ্যে রেয়ার বা কম যে গ্রুপটি পাওয়া যায় সেটি হলো এবি পজিটিভ গ্রুপের রক্ত।

হাসান ভাইকে দোয়ায় রাখবেন এই প্রত্যাশাই করি।

– রক্তবন্ধু পরিবার।


শেয়ার করুন:

Facebook Comments