দেশে এসে সৌদি প্রবাসীর প্রথম রক্তদান

শেয়ার করুন:

আমি সৌদি প্রবাসী কামরুল। দেশে এসেছিলাম। রিক্সায় সেলফি নিচ্ছে ছোট ভাই রাজিব। পিছনের ছেলেটা ওর বন্ধু সুমন। সুমনের আত্বীয়ের কি অপারেশন ছিল ঠিক মনে করতে পারছি না। রাজিব রক্তবন্ধুর ও+ গ্রুপের মানিকগঞ্জের, নিয়মিত রক্তদাতা। সেদিন রাজিব যাচ্ছিল রক্ত দিতে। আমি যাচ্ছিলাম জুতা কিনতে। তখন রাজিব বললো ভাই আমি ঢাকা মেডিকেলে রক্ত দিব চল আমার সাথে। আসার সময় জুতা কিনে নিয়ে আসবো। আমি বললাম ঠিক আছে। রাজিব, ওর বন্ধু সুমন এবং আমি গেলাম ঢাকা মেডিকেলে। পেসেন্টের মেয়ের জামাই আমাদের রিসিভ করলেন। এরপর সব ফর্মালিটি শেষ, রাজিব রক্ত দিবে। কিন্তু মেয়ের জামাই চিন্তিত। কিছুক্ষণ পর বললেন ভাই ডাক্তার পাঁচ ব্যাগ রক্ত রেডি রাখতে বলছে। মেয়ের জামাইয়েরও রক্তের গ্রুপ ও পজিটিভ। তিনিও দিবেন আর রাজিব মিলে ২ ব্যাগ হলো। তিনি বললেন আর কেউ আছে কি না রক্ত দেওয়ার মতো।

সৌদিআরব প্রবাসী (মানিকগঞ্জের) রক্তবন্ধু কামরুলের দেশে এসে ঢাকা মেডিকেলে প্রথম রক্তদান। ৩.১১.২০২১

বললাম প্রয়োজন হলে আমিও ১ ব্যাগ দিবো। তাদের মুখে একটু মুচকি হাসি আর চোখে অশ্রু দেখলাম।

৩ নভেম্বর ২০২১ দিয়ে দিলাম প্রথমবারের মতো  ও পজিটিভ লাল ভালোবাসা।

মানিকগঞ্জ থেকে কামরুল ইসলাম।
সৌদি আরব প্রবাসী।

বি.দ্রঃ কামরুল ইসলাম সব সময় বিভিন্নভাবে রক্তবন্ধুর সাথে যুক্ত ছিলেন রক্তবন্ধুর যাত্রার শুরু থেকেই৷ ফেইসবুকে রক্তবন্ধুর প্রচারণা চালাতেন সৌদিআরবে থেকেও৷

-পরিচালক, রক্তবন্ধু।

শুধুমাত্র স্বেচ্ছায় রক্তদাতাগণ রেজিস্ট্রেশন করবেন।


শেয়ার করুন:

Facebook Comments