তৃতীয় রক্তদানের অনুভূতি

শেয়ার করুন:

আসসালামু আলাইকুম!

আমার তৃতীয় রক্তদানের ছোট্ট একটি ঘটনা যেটি আমার জীবনে মনে রাখার মতো একটি ঘটনা।

সেদিন ছিলো ১২’ই আগস্ট ২০২১ (বৃহস্পতিবার)। আম্মুকে নিয়ে নোয়াখালীর একটি প্রাইভেট হসপিটালে ভর্তি।
এ সময় বিকেল ৪-৫ টার সময় একটা কল আসে আমার নাম্বারে। তারপর কথা বলি এবং কলে উনার সাথে পরিচয় হয়, আমারই পরিচিত একজন স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন তিনি।

তারপর বললেন উনার এক রিলেটিভ নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদ্দীতে একটি প্রাইভেট হসপিটাল ভর্তি আছেন। সিজার পরবর্তী ব্লিডিং হচ্ছে এমার্জেন্সি একব্যাগ রক্তের প্রয়োজন এবং উনি আমাকে প্রশ্ন করলেন আমি রক্তদান করতে পারবো কি না৷

কিছুটা সময় চুপ করে থেকে উনাকে মা’য়ের অবস্থা বিস্তারিত জানালাম যে আম্মুকে নিয়ে ভর্তি আছি। তারপর ভাই কল কেটে দিলেন।

কিছুটা সময় পর ভাই আবার কল ব্যাক করলেন যে, এমার্জেন্সি ভাবে কাউকে পাচ্ছেন না, যদিও রক্তদাতা আসতে হয় একটু লেট হবে।

এদিকে আম্মুকে হসপিটাল বেডে একা রেখে কিভাবে যাবো? সবমিলিয়ে একটু চিন্তায় পড়লাম।
তারপর ভাবলাম আমার রক্তের জন্য কেউ সমস্যায় পড়বে এটা আমার জন্য সহ্য করার মতো না। এরপর কিছুটা সময় ভাবতে ভাবতে ভাইকে বললাম….ঠিক আছে আমি রক্তদান করবো।

এর মধ্য আম্মু বেডে শোয়া, আম্মুকে তো এখন এটা বলাই যাবে না। তারপর আম্মুকে বলি আম্মু আমি বাহির থেকে একটু আসি। এই বলে বের হয়ে যাই অতঃপর রক্তদান করি, তখন ছিলো সন্ধ্যা ৬ঃ২৯ মিনিট।

রক্তদান করেই আম্মুর কাছে এসে হাজির, কিছুটা সময় পর আম্মু ঘুম থেকে উঠে হাতে ওয়ানটাইম ব্যান্ডেস দেখে প্রশ্ন করলেন কিরে সেখানে ব্যান্ডেস কেনো? আমি চুপ করে গেলাম। লাস্ট সত্যি কথা তো বলতেই হবে আম্মুকে! বিস্তারিত বুঝিয়ে বললাম। আম্মু অসুস্থ থেকেও মনে হলো কিছুটা খুশি হয়েছেন যেটা আম্মুর তখনকার মুহূর্ত দেখে আমি অনুভব করতে পারি।

এই পুরো সময় এবং এই রক্তদান আমার জীবনে একটি স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে।

আকরাম চৌধুরী
এডমিন রক্তবন্ধু, নোয়াখালী।

শুধুমাত্র স্বেচ্ছায় রক্তদাতাগণ রেজিস্ট্রেশন করবেন।

 


শেয়ার করুন:

Facebook Comments