ওজন বাড়িয়ে রতনের রক্তদান

শেয়ার করুন:

ওজন বাড়িয়ে রতনের রক্তদান
– তাসনিমুল বারী নবীন

উনার নাম খায়রুজ্জামান রতন। পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। উনি আন্ডারওয়েট হওয়ার কারণে রক্তদান করতে পারতেন না। তবে এসব ব্যাপারে তার আগ্রহ অনেক।

উনার স্ত্রী ইয়াসমিন বেগমও একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। রক্তের গ্রুপ এ পজিটিভ। উনার প্রথম রক্তদান স্বামী রতনের হাত ধরেই। রক্তবন্ধু ওয়েবসাইটে প্রথম রেজিস্ট্রেশন করা নারী ডোনার তিনি। এক রোগীর রক্তের প্রয়োজনে কল পেয়ে রতন আচমকা “চলো” বলে নিয়ে গিয়ে প্রথম রক্তদান করায়! এরপর থেকে কারো রক্ত লাগলেই দিতেন তিনি। এমনকি বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে এক মহিলার রক্তের প্রয়োজন হলে একা একাই রক্তদান করেছিলেন।

সেদিন হঠাৎই বন্ধু রতন কল দিয়ে বললো সে নাকি রক্তদান করবে! রক্তের গ্রুপ ও পজিটিভ

আমি বললাম – তোর তো ওজন কম!

❝আমি এইমাত্র মাপলাম ৫৩ কেজি❞

– মেশিন নষ্ট নাকি দেখ!

❝আরেক জায়গায় মাপলাম ৫১ কেজি❞

রক্তবন্ধু গ্রুপে পোস্ট করে দিলাম। রোগীর সন্ধান পেয়ে রক্তবন্ধুর পঞ্চগড় প্রতিনিধি সাইদুল ইসলাম  যোগাযোগ করলো এক রক্তশূন্যতার রোগীর জন্য। প্রথম দিন রোগীর লোকের যোগাযোগ অদক্ষতায় রক্তদান না হলেও পরের দিন ৫ নভেম্বরে সদর হাসপাতালে প্রথমবারের মতো রক্তদান করে ফেলেন খায়রুজ্জামান রতন।

রক্তদানের পর এও জানালো, যতোটা কঠিন ভাবছিলাম, মনে মনে একটু হলেও তো ভয় ছিলো, আসলে কিছুই না! এত্ত সহজ একটা ব্যাপার আগে বুঝি নাই।


শেয়ার করুন:

Facebook Comments