ঈদের দিনে রক্তদানের অভিজ্ঞতা

শেয়ার করুন:

কোরবানির ঈদের দিন রক্তদানের অভিজ্ঞতা

গত ঈদুল আযহার দিনে (১৭ জুন, ২০২৪) দুপুর বেলায় কল আসে একটা –
‘ আসসালামু ওয়ালাইকুম ভাই, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আমার ভাইয়ের জন্য ও+ প্লাটিলেট লাগবে, দিতে পারবেন?’

আমি – জি ভাই, পারবো। কখন লাগবে!
– যত দ্রুত সম্ভব আর কি..
– আচ্ছা আসতেছি (তখন বসে গরুর মাথা বানাচ্ছিলাম বাপ- ছেলে)

আমার বাড়ি নেত্রকোনা হলেও সেবার ঈদ ঢাকাতেই করেছিলাম।

বাবা ফোনে কথা বলা শুনেই বুঝতে পেরেছে। শুধু বলছে সঠিকভাবে সময় হলে তবেই যেন দিই! বললাম আচ্ছা।

হাতমুখ ধুয়ে রক্তবন্ধুর টি শার্ট পরে দিলাম দৌঁড়।
সোহরাওয়ার্দী হসপিটালে গেলাম। আনুমানিক বিকাল ৪ টা+। সরকারি হাসপাতালে নরমালি যেটা হয় (মহাবিরক্তিকর), বললো বাইরে কোথাও থেকে আমার সিবিসি করিয়ে আনতে। হসপিটালের অপজিটে ৪/৫ টা ক্লিনিক ডায়গনস্টিক সেন্টারে গেলাম, কোথাও হলো না!
কেউ খেতে গিয়েছে, কেউ নেই, কোথাও লোক ঈদের ছুটিতে! ইত্যাদি।

রোগীর লোক কি করবে বুঝতেছিলো না। তখন আমি বললাম (রোগীর কন্ডিশন খুব একটা ভালো ছিল না) –
এই অবস্থায় ঘুরাঘুরি করলে ফায়দা নেই। যদি প্রাইভেট থেকে টানাতে পারেন তাহলে পুলিশ হাসপাতালে চলেন। ভালো করে বুঝায় বলার পর রাজি হলেন। যদিও তারা চিনেনা, আমি নিয়ে গেলাম।
সাথে রোগীর স্যাম্পল।

ঈদের দিন সার্ভিস পাব কি না শিওর ছিলাম না,
Blood and Platelete Donation group of Bangladesh – এর এডমিন জাহিদ ভাইকে ফোন দিয়ে জেনে নিশ্চিত হয়ে গেলাম পুলিশ হাসপাতালে। ডোনেশন সম্পন্ন করলাম। সাথে ছিল রোগীর বড় ভাই ও বাবা।

আসার আগে বলতেছে – ”অনেক ধন্যবাদ ভাই। ডোনার আসে রক্ত দেয় কিন্তু আপনি যেভাবে চেষ্টা করলেন আমাদের জন্য, ওদিক হচ্ছিলো না, নিজেই নিয়ে আসলেন এখানে! আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ আমরা। দোয়া করবেন আমার ভাইটার জন্য”।

আমি- আল্লাহ সামর্থ্য দিয়েছেন তাই দেই। আপনিও সুযোগ পেলে রক্তদান করিয়েন ইনশাআল্লাহ। একজন দিলেই তবেই অন্য একজন রক্তটা পায়।

আল্লাহ হাফেজ।

 

মোঃ ফয়সাল আকাশ।
ও পজিটিভ রক্তদাতা।


শেয়ার করুন:

Facebook Comments