মুহিত- একজন প্রকৃত রক্তবন্ধুর নাম

শেয়ার করুন:

মুহিত- একজন প্রকৃত রক্তবন্ধুর নাম

আমার একটা সিম অনেকদিন যাবৎ বন্ধ ছিলো। মাসখানেক আগে বাড়িতে গিয়ে সিম টা চালু করেছিলাম কিন্তু ঢাকা আসার সময় সেটা নিয়ে আসার মনে ছিলো না।

আজকে বাড়ি থেকে কল দিয়ে বলতেছে একটা নাম্বার থেকে নাকি বেশ কয়েক দিন ধরে ফোন দিয়ে বলতেছে আমি যেনো ঐ নাম্বারে কল করি। তার কাছে আমার আর অন্য কোনো নাম্বার নেই।

আজকে বাড়ি থেকে কল দিয়ে বলার পর ফোন নাম্বরটা চাইলাম। নাম্বারটা টাইপ করতে গিয়ে দেখি এটা আমার ❝এ নেগেটিভ❞ ডোনার মুহিত ভাইয়ের নাম্বার!

দিলাম ফোন। ভাবলাম হয়তো তার পরিচিত কারো রক্ত লাগবে। কিন্তু না, উল্টো তিনি আমাকে বললেন আমি তাকে ব্লাড দেয়ানোর জন্য কল দিচ্ছি না কেন?! 😮

বলছিলেন “ভাই, এ নেগেটিভ কি কারো লাগে না? অনেক দিন হইলো কারো রক্তের জন্য কল দিচ্ছেন না।”

এমন ফোন কলে অবাক না হয়ে উপায় আছে?

এই রক্তদাতা তার রক্তের গ্রুপও জানতেন না।
আমরা রক্তবন্ধু পরিবার ২০২১ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচির আয়োজন করছিলাম শ্যামলী থেকে একটু ভেতরে মেহেদীবাগে।
সেখানে তিনি একটি পাশ্ববর্তী নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে শ্রমিক হিসেবে কন্সট্রাকশনের কাজ করতে এসেছিলেন। তার বাড়ি আসলে কামরাঙ্গীরচর। ঐদিন আমরা রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের পাশাপাশি মোটামুটি রক্তদানে আগ্রহী সবার নাম্বার নিয়ে সংগ্রহ করে রেখে ছিলাম। এ নেগেটিভ রক্ত দেখে তাকে বেশ ভালোকরে মোটিভেশন দেয়া হয়েছিলো রক্তবন্ধু টিম থেকে।

তার কিছুদিন পর আমার কাছে একটা এ নেগেটিভ রক্তের রিকোয়েস্ট আসে এক্সিডেন্টের রোগীর জন্য। তখন মুহিত ভাইকে কল করেছিলাম আর উনি সাথে সাথে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। করোনার মাঝে সেটা ছিলো তার ১ম রক্তদান। ফোনে ফোনে যোগাযোগ করে এই যাবৎ ৪ বার রক্তদান করিয়েছি তাকে দিয়ে।

বর্তমানে তিনি নিজ এলাকায় তার বড় ভাইয়ের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করছেন।

স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে আপনিও রেজিস্ট্রেশন করুন roktobondhu.com এ। প্রতিবার রক্তদানের পর তারিখ আপডেট করে দিন। প্রয়োজনে বিস্তারিত ওয়েবসাইট থেকে পড়ে নিন।

-ইরফান পাঠান, ভলান্টিয়ার, রক্তবন্ধু।


শেয়ার করুন: