জন্মদিনে ১৫ তম রক্তদান করে পাঠালেন সাইদুল

শেয়ার করুন:

আলহামদুলিল্লাহ
১৫ তম এবি নেগেটিভ রক্তদান সম্পন্ন, রাজশাহীর এক থ্যালাসেমিয়ার রোগীকে।

সময়: সকাল ৭:৩০ মিনিট

সর্ব প্রথম শুকরিয়া আদায় করি মহান আল্লাহর প্রতি, যিনি অন্যের প্রয়োজনে আমাকে এগিয়ে আসার সুযোগ করে দিয়েছেন।
গতকাল (১৩ নভেম্বর) আমার জন্মদিন ছিল আর এবার জন্মদিন উপলক্ষ করে রক্তদান করার ইচ্ছে ছিল। সাথে শিশির ভাইও একই সাথে রক্ত দিবেন এই জন্য রেডি ডোনারের পোষ্ট করি, এবি নেগেটিভ রোগী পাচ্ছিলাম না। ঠিক সে সময় আমার পোস্ট, রাজশাহীর স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতা সফিকুল ভাইয়ের চোখে পরে। তখন রাহিসুল (রাজশাহী) কে পোস্টে ম্যানশন দেন। তিনি জানান রাজশাহীর থ্যালাসেমিয়ার এক বাচ্চার (ইয়াসিন) জন্য জরুরী এবি নেগেটিভ রক্ত প্রয়োজন ছিল। হিমোগ্লোবিন: ৩.৮।

পঞ্চগড়ের এবি নেগেটিভ রক্তদাতা সাইদুল ও রাজশাহীর রোগী ইয়াসিন


তখন আমাকে নক করেন স্বেচ্ছাসেবী রাহিসুল ভাই। আমি রক্তটা দিতে রাজি হই, তবে আমি তো রাজশাহী যেতে পারবোনা বলায় তিনি এসে রক্তটা নিয়ে যাবেন বলে ইচ্ছে প্রকাশ করেন। আমি রাজি হই এবং তিনি রোগীর রক্তের স্যাম্পল আইস বক্সে নিয়ে রওনা দেন।

আইস বক্সে রক্ত নিয়ে রাজশাহীতে ফিরে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী রাহিসুল

সকাল ৬:৩০ মিনিটে তিনি পঞ্চগড়ে পৌঁছান আর সকাল ৭:৩০ মিনিটে ব্লাড ডোনেট সম্পন্ন করি। তারপর ৮:১০ এর ট্রেনে রাহিসুল ভাইকে আমরা বিদায় জানাই।

সাইদুল ইসলাম, এবি নেগেটিভ 
ভলান্টিয়ার, রক্তবন্ধু, পঞ্চগড়।

বি.দ্র: রক্ত +২ থেকে +৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বিশেষ ব্যবস্থা সম্পন্ন ব্লাড ব্যাংক ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়৷ বরফ দিয়ে পেঁচিয়ে নিলে রক্তের উপাদান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রক্ত গ্রহীতার হিমোলাইটিক ট্রান্সফিউশন রিয়েকশন হতে পারে যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
আবার রক্ত বেশিক্ষণ নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রার বাইরে থাকলে ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত/দূষিত হতে পারে যা রোগীর শরীরে নিলে মৃত্যু ঝুঁকি থাকে।

তাই এভাবে দূরত্বে রক্ত পরিবহন না করে হয় রক্তদাতাকে যেতে হবে, না হয় রোগীকে আসতে হবে। কিংবা মাঝামাঝি অন্য জায়গায় মিট করা যেতে পারে৷ অর্থাৎ রক্তদাতা ও রক্তগ্রহীতাকে এক জায়গায় হতে হবে৷
(যদিও ছবির আইসবক্সের ভেতরে বরফ ছিলো না। খালি বক্স ছিলো।)

ফ্রিজে রক্ত সংরক্ষণ সম্পর্কে জানতে চাইলে পড়ুন


শেয়ার করুন: